বাংলাদেশ রপ্তানি থেকে সদ্য বিদায় ডিসেম্বরে আয় করেছে চারশ বাষট্টি কোটি চুয়াত্তর লক্ষ মার্কিন ডলার যা ১৭.৭২ শতাংশ বেশি গত বছরের তুলনায়। গত 2 জানুয়ারি বৃহস্পতিবারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্যগুলি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ের মোট পরিমান ছিল তিনশ তিরানব্বই কোটি নয় লক্ষ ডলার।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আরএমজি বা তৈরী পোশাক হতে রপ্তানি আয় একই সময়ে হয়েছে গতবছরের তুলনায় ১৭.৪৫ শতাংশ বেড়ে ৩৭৭ কোটি ৫ লক্ষ ডলারের দাঁড়িয়েছে। এই আয় ২০২৩ সালে ছিল তিনশ একুশ কোটি চার লক্ষ ডলার।
রপ্তানি আয়ের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে একশ ঊননব্বই কোটি আঠারো ডলার নীটওয়্যার রপ্তানি থেকে এসেছে যা ষোল দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে বছরের ব্যবধানে। অভেন পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে একশ সাতাশি কোটি সাতাশি লক্ষ ডলার যা ২০২৩ সাল বা গত বছরের একই সময়ের তুলনাতে ১৮.০৬% কমেছে।
ইপিবির তথ্যমতে, ডিসেম্বরে উল্লেখযোগ্য অন্যান্য হাতের মধ্যে চামড়াজাত পণ্য ও কৃষি পণ্য এবং হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি বেড়েছে। ২০.৪৭ শতাংশ হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয় বেড়ে ৮ কোটি ৩৯ লক্ষ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আর চামড়া এবং চামড়া জাত পণ্যের রপ্তানি ২৪.১৯ শতাংশ বেড়েছে। ডিসেম্বরে চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি হয়েছে এগারো কোটি নয় লক্ষ্য ডলার। এছাড়াও কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪.৪১ শতাংশ যা ১০ কোটি এক লক্ষ ডলার।
২০২৪ থেকে ২০২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরে মাসে তৈরিকৃত পোশাক, চামড়া এবং ওষুধসহ ২৭ রকমের পণ্য রপ্তানি হয়েছে বিশ্ববাজারে। বাংলাদেশ হতে এই সময় রপ্তানি হয়েছে ২৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য যা ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ১২. ৮৪ শতাংশ বেশি।